ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীরা পালাচ্ছে

পরিবর্তন ডেস্ক : মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে পালাতে শুরু করেছেন কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে সীমান্ত শহর টেকনাফ, উখিয়া, রামু ও কক্সবাজার শহরের ইয়াবার বড় বড় গডফাদাররা ইতিমধ্যে পালিয়ে গেছেন। অনেকে গোপনে পাড়ি দিয়েছেন মিয়ানমারে।গত দুই দিনে ধরে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অনেককেই দেখা মিলছে না। তবে এখন বহাল তবিয়তে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে চকরিয়ার সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতিক চকরিয়া পেৌরসদরসহ উপকুলীয় এলাকা সমুহ মাদকের নিরাপদ আস্তানায় পরিনত হয়েছে।

বিশেষ করে ইয়াবার নিরাপদ রুট টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গোপন স্থানে পালিয়ে গেছেন। চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ঘরে এখন বিরাজ করছে ‘ক্রসফায়ার আতংক’।

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনের অভিযানে র‍্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ারে বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মাদক নির্মূলে অভিযানের কথা জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের মাদকের আস্তানায় র‍্যাবের অভিযানে ২ শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার পর থেকে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাঝে হঠাৎ  আতংক শুরু হয়েছে। অনেকে ওমরা পালনের নামে সৌদি আরব পাড়ি দিতেও চেষ্টা করছেন।

ইয়াবাসহ মাদক পাচার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল সপ্তাহে র‍্যাবকে কঠোর নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনার পর পরই সারা দেশে মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়।

 গত তিন দিন আগে চট্টগ্রামের ইয়াবার হাট হিসাবে পরিচিত বরিশাল কলোনীতে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রসফায়ারে নিহত হন। র‍্যাবের অভিযানে গত কয়েক দিনে এ পর্যন্ত ১৫ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

এদিকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবার সাথে সাথেই টেকনাফ সীমান্তের বড় বড় ইয়াবার চালান বন্ধ হয়ে গেছে। সীমান্তের ঘরে ঘরে এখন বড় আতংক দেখা দিয়েছে।

টেকনাফের হ্নীলার নুর মোহাম্মদ প্রথম ইয়াবা ব্যবসায়ী, যিনি ক্রসফায়ারে মারা যান। পরবর্তীতে টেকনাফ সীমান্তে একে একে আরো ৬ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হন। এ কারনে টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের স্বজনদেরও এখন ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ রনজিত বড়ুয়া জানিয়েছেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দমনে সরকারের নির্দেশে সারাদেশে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে শুরুর পর থেকে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের অবস্থান নিশ্চিত করাতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলেই তাদের ধরা হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ৬০ জন গডফাদার সহ ১১৫১ জন মাদক কারবারির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর থেকে সারা দেশে ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়।

পাঠকের মতামত: